খাবার পেলেও নেই বই খাতা পেন।
একেতো মহামারি করোনার দাপট। বন্ধ স্কুল কলেজ। তার ওপর করোনার ভয়ে গৃহ শিক্ষকরাও ঘর বন্দি। তারই মাঝে ঘুর্নীঝড় ইয়াশের দাপটে ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। তারি সাথে ভেসে গিয়েছে বই,খাতা, পেন সহ পড়াশুনার সকল সরঞ্জাম। এখন আশ্রয় বলতে ত্রাণ শিবির অথবা উঁচু বাঁধের ওপর কালো পলিথিনের ছাউনী। এমনই দশা পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী অধিকাংশ এলাকার পড়ুয়াদের। দীঘা,শংকরপুর,তাজপুর, মান্দারমনি, শৌলা, পুরুষোত্তমপুর, বগুড়ান, রসুলপুর, হলদিয়া, সুন্দরবন সহ বহু এলাকার সমুদ্র ও নদী তীরবর্তীএলাকার একই চিত্র।পড়ুয়াদের পড়াশুনা এখন বিশবাঁও জলে। এই হাহাকারের মধ্যে চলছে খাদ্য এবং বাসস্থানের সংকট। কখন কোন সংস্থা রান্না করা খাবার বা শুকনো খাবার নিয়ে হাজির হবে তারি দিকে সবার সজাগ দৃষ্টি। কিছু সেচ্ছাসেবী সংস্থা বা প্রশাশনের বদান্যতায় এখনো পর্যন্ত দুবেলা দু মুঠো খাবার জুটে যাচ্ছে ঠিক।কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের পড়াশুনা করার আর কোনো উপায় নেই। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জলে ভেসে গিয়েছে বইপত্র। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে এবারের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। সামনে তাদের পরীক্ষা। এই অবস্থায় বইপত্র এবং বাসস্থানের অভাবে তারা কোনো রকম প্রস্তুতিও নিতে পারছে না।তাই তাদের ভবিষ্যৎ এখন চরম সংকটে। কিছু কিছু জায়গায় কিছু শিক্ষক সংগঠন বা অন্যান্য সংস্থা খাতা পেন বিতরণ করছেন ঠিকই। কিন্তু বিদ্যালয় প্রদত্ত পাঠ্য পুস্তক তারা কি প্রকারে পাবে সেই নিয়ে তাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।সরকার এ বিষয়ে কোনো কাজ করছে কিনা সেটা ও তাদের জানা নেই। কয়েকজন পড়ুয়ার বক্তব্য,"জানি না আর পড়াশুনা করতে বা পরীক্ষা দিতে পারবো কিনা। আমাদের কাছে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা টা এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। আর পড়াশুনা করাতো অনেক দুরের কথা। তবে সরকার বা অন্যান্য সংস্থা যদি সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং আমাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে হয়তো আমরা মূল স্রোতে ফিরতে পারব।"
No comments:
Post a Comment