Friday, June 11, 2021

তাহলে কি এবার বঙ্গ বিজেপিতে ব‍্যাপক ভাঙন ?

 তাহলে কি এবার বঙ্গ বিজেপিতে ব‍্যাপক ভাঙন ?

বিধান সভা ভোটের পর দু মাস কাটতে না কাটতেই বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। ভোটৈর আগে শুরু হয়েছিল তৃণমূলে ভাঙন। আর তার মূল কারিগর ছিলেন মুকুল রায়। প্রথমে তিনিই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে ছিলেন। তারপর তার হাত ধরেই অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যার এর তৃণমূলে ক্ষমতা বৃদ্ধি কে ইস‍্যু করে, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব ব‍্যানার্জী, শুভ্রাংশু রায়,সোনালী গুহ, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সহ একাধীক তৃণমূলের হেবিওয়েট নেতা নেতৃরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি তে যোগদান করেছিলন। বিধান সভা ভোটে বঙ্গ বিজেপি থেকে অধিকাংশ জন টিকিটও পান ভোটে লড়ার। কিন্তু দল বদলুদের টিকিট দেওয়া হল অথচ যারা দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপির সংগঠন করছিল তাদের নাম প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।এই নিয়ে দলের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও দেখা দেয়। এর জন্য অনেক জায়গায় পুরোনো বিজেপিরা কিছুটা নিষ্ক্রয়তা ও দেখায়। দলের অন্তর কলহ,  নেতাদের অতি আত্মবিশ্বাস এবং তৃণমূলের চতুর কৌশলের কাছে পরাস্ত হয় বিজেপি। দল বদলু প্রার্থীরাই অধিকাংশ পরাজিত হন।আর তার পর‌ই সুর বদল করতে শুরু করেন একে একে। রাজীব ব‍্যানার্জী, সোনালী গুহ, শুভ্রাংশু রায় সহ অন্যান্য রা সরাসরি তৃণমূল ছাড়ার জন‍্য উষ্ণা ও অনুতাপ প্রকাশ করেন এবং পুন‍রায় তৃণমূলে ফেরার জন‍্য সরাসরি সুপ্রিমো কে বার্তা ও পাঠান। এবার সেই ঘরে ফেরার পালা শুরু হল শুভ্রাংশু আর মুকুল রায়কে দিয়ে। 

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কথা হল, মুকুল যেমন তার দলবল নিয়ে বিজেপিতে গিয়েছিল আবার তাদের প্রত‍্যাবর্তন করাবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর যদি তাই করেন তাহলে বিজেপিতে ব‍্যাপক ভাঙন একেবারে নিশ্চিত।আর এই আশ‌ংকা কিছুটা সত‍্য বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।কারণ ইতিপূর্বে তৃণমূল মহল থেকেই সংকেত দেওয়া হয়েছে বিজেপির কিছু বিধায়ক ও নেতা তৃণমূলের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। আর এই কথা যদি বাস্তব হয় তাহলে বঙ্গ বিজেপিকে অবশ‍্য‌ই ধাক্কার মুখে পড়তে হবে। এদিকে আগামী লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এখন থেক‌ই কাজে নেমে পড়েছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে দলের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে নেতৃর কথা মত নেতা মন্ত্রীরা জন সংযোগের কাজ শুরু করে দিয়েছেন‌। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কি কৌশল অবলম্বন করবে তার‌ই দিকে তাকিয়ে আম জনতা ও রাজনৈতিক মহল। এছাড়া মুকুল রায়ের বিকল্প হিসেবে বিজেপি কাকে উপস্থাপিত করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।





Thursday, June 10, 2021

আবার‌ও দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির সতর্কতা জারি।

 আবার‌ও দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির সতর্কতা জারি।

ঘুর্নীঝড় ইয়াশের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির সতর্কতা  জারি করা হল। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে এই সতর্কতা জারি করা হয়। আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী আজ ১০ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ১৩ জুন রবিবার পর্যন্ত এই ঝড় বৃষ্টি চলবে বলে জানানো হয়। 


দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণা , কোলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া,বীরভূম, পুরুলিয়া, নদীয়া, মুর্শীদাবাদ সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় এই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ সব জেলায় বজ্র বিদ‍্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত শুরু হবে। সঙ্গে থাকবে দমকা বাতাস। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে আগামী দিন গুলিতে বৃষ্টির পরিমান বাড়বে। ১১ - ১৩ জুন প্রবল বৃষ্টিপাত এর সম্ভবনা আছে। অধিকাংশ জায়গায় গড়ে ৭-১১ সেমি বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির সংকেত জা্রি করা হয়েছে। 

সেক্ষেত্রে বৃষ্টিপাতের পরিমান হবে ৭-২০ সেমি। বিশেষ করে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণায় এই অতি ভারী বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। এই প্রবল ঝড় বৃষ্টির ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। জলোচ্ছাসের সম্ভবনা ও আছে। তাই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা গুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস‍্যজীবিদের সমুদ্রে যেতে বারণ করেছে প্রশাশন। তবে আগামী ১৪ জুন আবহাওয়ার অনেকটা পরিবর্তন হবে বলে দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।




Tuesday, June 8, 2021

ইয়াশ দুর্গতদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এলো রামকৃষ্ণ আশ্রম ঠাকুরবাড়ী, মেদিনীপুর

 ইয়াশ দুর্গতদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এলো রামকৃষ্ণ আশ্রম ঠাকুরবাড়ী, মেদিনীপুর



মহামারি করোনার দাপটে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহুর্তে ইয়াশের ভয়াল রূপ আছড়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকায়। এই ঘুর্নীঝড়ের জেরে উদ্ভুত ভয়ংকর জলোচ্ছাসে ভিটেমাটি হারিয়েছে বহু মানুষ। সর্বহারা এই সব মানুষদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন সরকার নির্মিত আশ্রয়স্থলে আবার কেই রয়েছেন উঁচু বাঁধের ওপর অস্থায়ী ছাউনীর তলায়।এই পরিস্থিতি তে দুর্গতদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলো মেদিনীপুর শহরের রামকৃষ্ণ আশ্রম ঠাকুরবাড়ী। আজ ৮ জুন মঙ্গলবার কালিন্দী অঞ্চলের অরকবনিয়া ও দাদনপাত্রবাড় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষকে বস্ত্র বিতরণ করা হয় এই প্রতিষ্ঠান থেকে। মহিলাদের জন্য দেওয়া হয় শাড়ি এবং পুরুষদের জন‍্য দেওয়া হয় গেঞ্জী। এই ত্রাণ বিতরণের পুরোভাগে ছিলেন মেদিনীপুর শহরের রামকৃষ্ণ আশ্রম ঠাকুরবাড়ীর সম্মানীয় অধ্যক্ষ স্বামী জয়ানন্দ মহারাজ। তিনি প্রত্যেকের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেন। এছাড়া তার সঙ্গে ছিলেন আর‌ও অন্যান্য আশ্রমীকগণ। এই মহৎ কাজে সাহায‍্যের জন্য কালিন্দী অঞ্চল সর্ব্বজনীন শ্যামাপূজা কমিটির সেচ্ছা সেবকগণ অংশগ্রহন করেন। নতুন বস্ত্র হাতে পেয়ে ইয়াশ কবলিত মানুষজন থুব আনন্দ প্রকাশ করেন। এছাড়া এই অসহায় মানুষজন যাতে খুব শীঘ্র স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেন তার জন্য স্বামী জয়ানন্দ মহারাজ পরম প্রেমময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা ক‍রেন।

Friday, June 4, 2021

খাবার পেলেও নেই ব‌ই খাতা পেন।

 খাবার পেলেও নেই ব‌ই খাতা পেন।



একেতো মহামারি করোনার দাপট। বন্ধ স্কুল কলেজ। তার ওপর করোনার ভয়ে গৃহ শিক্ষকরাও ঘর বন্দি। তার‌ই মাঝে ঘুর্নীঝড় ইয়াশের দাপটে ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। তারি সাথে ভেসে গিয়েছে ব‌ই,খাতা, পেন সহ পড়াশুনার সকল সরঞ্জাম। এখন আশ্রয় বলতে ত্রাণ শিবির অথবা উঁচু বাঁধের ওপর কালো পলিথিনের ছাউনী। এমন‌ই দশা পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী অধিকাংশ এলাকার পড়ুয়াদের। দীঘা,শংকরপুর,তাজপুর, মান্দারমনি, শৌলা, পুরুষোত্তমপুর, বগুড়ান, রসুলপুর, হলদিয়া, সুন্দরবন সহ বহু এলাকার সমুদ্র ও নদী তীরবর্তীএলাকার এক‌ই চিত্র।পড়ুয়াদের পড়াশুনা এখন বিশবাঁও জলে। এই হাহাকারের মধ্যে চলছে খাদ্য এবং বাসস্থানের সংকট। কখন কোন সংস্থা রান্না করা খাবার বা শুকনো খাবার নিয়ে হাজির হবে তারি দিকে সবার সজাগ দৃষ্টি। কিছু সেচ্ছাসেবী সংস্থা বা প্রশাশনের বদান‍্যতায় এখনো পর্যন্ত দুবেলা দু মুঠো খাবার জুটে যাচ্ছে ঠিক।কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের পড়াশুনা করার আর কোনো উপায় নেই। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জলে ভেসে গিয়েছে ব‌ইপত্র। তবে সবচেয়ে বেশি সমস‍্যায় পড়েছে এবারের মাধ‍্যমিক ও উচ্চ মাধ‍্যমিক পরীক্ষার্থীরা। সামনে তাদের পরীক্ষা। এই অবস্থায় ব‌ইপত্র এবং বাসস্থানের অভাবে তারা কোনো রকম প্রস্তুতিও নিতে পারছে না।তাই তাদের ভবিষ‍্যৎ এখন চরম সংকটে। কিছু কিছু জায়গায় কিছু শিক্ষক সংগঠন বা অন্যান্য সংস্থা খাতা পেন বিতরণ করছেন ঠিক‌ই। কিন্তু বিদ‍্যালয় প্রদত্ত পাঠ‍্য পুস্তক তারা কি প্রকারে পাবে সেই নিয়ে তাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।সরকার এ বিষয়ে কোনো কাজ করছে কিনা সেটা ও তাদের জানা নেই। কয়েকজন পড়ুয়ার বক্তব‍্য,"জানি না আর পড়াশুনা করতে বা পরীক্ষা দিতে পারবো কিনা। আমাদের কাছে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা টা এখন একটা বড় চ‍্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। আর পড়াশুনা করাতো অনেক দুরের কথা। তবে সরকার বা অন্যান্য স‌ংস্থা যদি সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং আমাদের জন্য সাহায‍্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে হয়তো আমরা মূল স্রোতে ফিরতে পারব।" 

Thursday, April 15, 2021

ভোট মিটতেই মিড ডে মিলে কাটছাট!

 ভোট মিটতেই মিড ডে মিলে কাটছাট!


আট দফা ভোটের পর আগামী ২ রা মে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ইতি মধ‍্যে প্রকাশিত হয়েছে মে মাসের মিড ডে মিলের অর্ডার। আর তাতে দেখা যাচ্ছে ওই মাসে আর বরাদ্দ থাকছে না ডাল, চিনি আর সোয়াবিন। মে মাসে পুরানো নিয়ম মেনে পড়ুয়ারা পাবে চাল,আলু, ছোলা ও সাবান। তাহলে মার্চ এবং এপ্রিল মিড ডে মিল কি তাহলে ছিল ভোটের চমক? এ নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।




Tuesday, March 16, 2021

ভোটের ডিউটি কাটাতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন কিছু কর্মচারী।

 ভোটের ডিউটি কাটাতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন কিছু কর্মচারী।



ভোটের ডিউটি কাটাতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন কিছু কর্মচারী।ঘটনাটি ঘটেছে আসামেরর নলবারি এলাকায় । সামনে বিধান সভা নির্বাচন।এই ভোটে প্রথা অনুযায়ী শিক্ষক দের ডিউটি দেওয়া হয়। এই অবস্থায় মেডিকেল দেখিয়ে ডিউটি কাটানোর জন্য কমিশনে আবেদন করেন বেশ কিছু শিক্ষক। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন‌ও তাদের মেডিকেল চেক করে। এতে কিছু শিক্ষক ভোটের ডিউটি করতে অক্ষম হিসেবে বিবেচিত হন। আর তারপরেই হঠাৎ করে এক চমক তৈরি হয়। যারা ভোটের কাজের জন্য অক্ষম তাদের নামের একটি বিশেষ তালিকা তৈরি করে নলবারি এলাকার জেলা নির্বাচন আধিকারীক। এরপর সেই তালিকা রাজ‍্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে পাঠান। তাতে উল্লেখ করা হয়, যে সব কর্মচারী ভোটের কাজ করতে অক্ষম তারা তাদের পেশাগত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ও উপযুক্ত নয়। তাই তাদের ভলেনটিয়ারি রিটায়ারমেন্ট দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে নির্বাচন আধিকারিক। ফলে এই ঘটনা নিয়ে কর্মচারি মহলেও চাঞ্চল‍্যের সৃষ্টি হয়।

Wednesday, March 3, 2021

দেখেনিন ভোট কেন্দ্রে খাবারের জন্য দিতে হবে কত টাকা।

 দেখেনিন ভোট কেন্দ্রে খাবারের জন্য দিতে হবে কত টাকা। 


রাজ্যের আনন্দধারা প্রকল্পের আওতায় থাকা স্বনির্ভর দলগুলি মূলত ভোটকেন্দ্রে থাকা ভোটকর্মীদের খাদ্য সরবরাহ করবে। সেই বিষয়ে একটি বিশেষ বিঞ্জপ্তিও জারি হয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী খাবারের জন্য যে দাম ধার্য করা হয়েছে তা মূলত নিম্নরূপ:


1. টিফিন(ব্রেড এবং বাটার)           25/
2.টিফিন(4 পিস পুরি, সব্জি)          25/
3.সেদ্ধ/ভাজা ডিম                          10/
4.সব্জি ভাত                                   40/
5.মাছ ভাত                                     65/
6.চিকেন ভাত                                 90/
7.ডিম ভাত                                    50/
8.মাটন ভাত                                  130/
9.রুটি (1 পিস)                              4/
10.ভেজ কারি/চিকেন কারি।মাটন কারি     20/60/90
11.চা এক কাপ                        5/
12. চা এবং দুটি বিস্কুট              10/



আবার‌ও গৌরবময় সাফল্য স‌ঈফের। এবার সাফল্য সর্বভারতীর পরীক্ষায়।

 আবার‌ও গৌরবময় সাফল্য স‌ঈফের। এবার সাফল্য সর্বভারতীর পরীক্ষায়। এ যেন এক অনন‍্য নজির। একের পর এক সাফল‍্য।সেটা আবার নজর কাড়া সাফল‍্য সর্বভারতী...