তাহলে কি এবার বঙ্গ বিজেপিতে ব্যাপক ভাঙন ?
বিধান সভা ভোটের পর দু মাস কাটতে না কাটতেই বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। ভোটৈর আগে শুরু হয়েছিল তৃণমূলে ভাঙন। আর তার মূল কারিগর ছিলেন মুকুল রায়। প্রথমে তিনিই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে ছিলেন। তারপর তার হাত ধরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যার এর তৃণমূলে ক্ষমতা বৃদ্ধি কে ইস্যু করে, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব ব্যানার্জী, শুভ্রাংশু রায়,সোনালী গুহ, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সহ একাধীক তৃণমূলের হেবিওয়েট নেতা নেতৃরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি তে যোগদান করেছিলন। বিধান সভা ভোটে বঙ্গ বিজেপি থেকে অধিকাংশ জন টিকিটও পান ভোটে লড়ার। কিন্তু দল বদলুদের টিকিট দেওয়া হল অথচ যারা দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপির সংগঠন করছিল তাদের নাম প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।এই নিয়ে দলের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও দেখা দেয়। এর জন্য অনেক জায়গায় পুরোনো বিজেপিরা কিছুটা নিষ্ক্রয়তা ও দেখায়। দলের অন্তর কলহ, নেতাদের অতি আত্মবিশ্বাস এবং তৃণমূলের চতুর কৌশলের কাছে পরাস্ত হয় বিজেপি। দল বদলু প্রার্থীরাই অধিকাংশ পরাজিত হন।আর তার পরই সুর বদল করতে শুরু করেন একে একে। রাজীব ব্যানার্জী, সোনালী গুহ, শুভ্রাংশু রায় সহ অন্যান্য রা সরাসরি তৃণমূল ছাড়ার জন্য উষ্ণা ও অনুতাপ প্রকাশ করেন এবং পুনরায় তৃণমূলে ফেরার জন্য সরাসরি সুপ্রিমো কে বার্তা ও পাঠান। এবার সেই ঘরে ফেরার পালা শুরু হল শুভ্রাংশু আর মুকুল রায়কে দিয়ে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কথা হল, মুকুল যেমন তার দলবল নিয়ে বিজেপিতে গিয়েছিল আবার তাদের প্রত্যাবর্তন করাবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর যদি তাই করেন তাহলে বিজেপিতে ব্যাপক ভাঙন একেবারে নিশ্চিত।আর এই আশংকা কিছুটা সত্য বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।কারণ ইতিপূর্বে তৃণমূল মহল থেকেই সংকেত দেওয়া হয়েছে বিজেপির কিছু বিধায়ক ও নেতা তৃণমূলের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। আর এই কথা যদি বাস্তব হয় তাহলে বঙ্গ বিজেপিকে অবশ্যই ধাক্কার মুখে পড়তে হবে। এদিকে আগামী লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এখন থেকই কাজে নেমে পড়েছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে দলের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে নেতৃর কথা মত নেতা মন্ত্রীরা জন সংযোগের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কি কৌশল অবলম্বন করবে তারই দিকে তাকিয়ে আম জনতা ও রাজনৈতিক মহল। এছাড়া মুকুল রায়ের বিকল্প হিসেবে বিজেপি কাকে উপস্থাপিত করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।