Sunday, December 20, 2020

তৃণমূলের ভাঙনে কি হাওয়া পাবে সিপিএম??

 তৃণমূলের ভাঙনে কি হাওয়া পাবে সিপিএম??



তৃণমূল কংগ্রেস এর দলে ভাঙন ধরছে।দলের একাধীক নেতাকর্মী যোগ দিচ্ছে বিজেপিতে।এখন প্রশ্ন হলো সাধারণ সমর্থকরা কি ভাবছেন। যে সব সাধারণ মানুষ দল মত নির্বিশেষে শুধু মাত্র নেতাকে পছন্দ করে তৃণমূলকে ভোট দিত অথবা এলাকার উন্নয়নের সার্থে সিপিএম থেকে তৃণমূলে গা ভাসিয়েছিলেন তারা কি এখন সেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতাকে ভোট দেবেন? বিজেপির হাত শক্ত করবেন নাকি অন্য কিছু? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দের মতে নেতার প্রতি আসক্ত হয়ে অথবা এলাকার উন্নয়নের সার্থে যারা এত দিন তৃণমূল করতেন তাদের অধিকাংশ মানুষ বিজেপিতে যাবেন না।বরং তারা আবার সিপিএমে ফিরে যাবে। এখানে বলে রাখা ভালো , ২০১০ এর বিধান সভা ভোটের পর, লাল সন্ত্রাস উপদ্রুত এলাকার বহু সিপিএম নেতাকর্মী নিজেদের গা বাঁচানোর জন্য তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিল।তারাও এবার সিপিএমে ফিরে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর ফলে আগামী বিধান সভা ভোটে বেশ কিছুটা অক্সিজেন পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Friday, December 18, 2020

শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র খারিজ।

 শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র খারিজ।



শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র খারিজ করল বিধান সভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৬ই ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ইস্তফাপত্র জমা করেন বিধান সভায়। আজ ১৮ই ডিসেম্বর বিধান সভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র ক্রুটিপূর্ন। তাই তা খারিজ করা হয়েছে। 

তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত

 তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত



এক সময় দল ভাঙানোর খেলায় মেতে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিরোধী দলের বহু বিধায়ক এবং নেতাদের ভাঙিয়ে দলে এনে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু২ ২০২১ বিধান সভা ভোটের আগে সেই খেলা উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে একের পর এক নেতা মন্ত্রী ভেঙে গিয়ে ভিড় বাড়াতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরে। ফলে তৃণমূল সুপ্রিমোদের কপালে এখন চিন্তার ভা‍ঁজ।

একদা তৃণমূলের দুই স্তম্ভ মুকুল রায় এবং অর্জুন সিং দল ছেড়েছিল।তার খেসারত তৃণমূলকে দিতে হয়েছে গত লোকসভা ভোটে। তারপর সম্প্রতী দল ছাড়ল হেবিওয়েট নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক তা্র পরের দিন দল ছাড়ে আসানসোলের হেবিওয়েট নেতা তথা বিধায়ক রাজেশ তিওয়ারী। আবার শুক্রবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার কথা প্রকাশ করে ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তারপর কালনার বিধায়ক 

বিশ্বজিৎ কুন্ডুর। তিনিও দল থেকে বেরিয়ে আসার কথা ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।এরপর আর কোন কোন নেতা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে ভিড় বাড়াবে তার‌ই দিকে তাকিয়ে আছে সাধারন মানুষ।তবে রাজনৈতিক বিষেষজ্ঞদের মতে তৃণমূলের আরো কিছু নেতা দল ছাড়তে পারেন।


Thursday, December 17, 2020

শুভেন্দুকে নিয়ে রাজ্যপাল ও মমতার রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে

 শুভেন্দুকে নিয়ে রাজ্যপাল ও মমতার রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে।



ইতি মধ্যে বাংলার রাজনীতির একমাত্র কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে শুভেন্দু অধীকারি। আর তাকে নিয়ে আবার‌ও একবার দ্বন্দ্ব শুরু হলো মমতা ও রাজ্যপালের মধ্যে। দল ছাড়ার পর শুভেন্দু রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে তার এবং তার অনুগামীদের ওপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। প্রশাশনীক প্রধান হিসেবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেন শুভেন্দু।আর তার পর‌ই মাঠে নামে রাজ্যপাল। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি দিয়েশুভেন্দুর

     অভিযোগের কথা জানান। সঙ্গে তিনি জানান, পুলিশের এমন কাজ আগনতান্ত্রীক এব‌ং অসাংবিধানীক। এর ব্যাপারে মমতাকে পদক্ষেপ নিতে বলেন তিনি।আর এর প‍রেই রাজ্যপালকে তৃণমূলের কোপের মুখে পড়তে হয়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন রাজ্যপাল বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। 



তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী।

 তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী।




মন্ত্রীত্ব পদ থেকে পদত্যাগ।বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ।অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেস দল এব‌ং দলের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ দলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি লিখে এমনি বার্তা জানিয়ে দেন তিনি। এবার তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে এগোবে তার‌ই দিকে তাকিয়ে বা‌ংলার মানুষ।

Wednesday, December 16, 2020

কোনো পরীক্ষা ছাড়াই প্রি-থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়ারা উত্তীর্ণ।

 কোনো পরীক্ষা ছাড়াই প্রি-থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়ারা উত্তীর্ণ।



করোনার জন্য চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ন স্বাভাবিক নয়।এদিকে শেষ হতে চলেছে ২০২০ শিক্ষাবর্ষ। আর তার‌ই প্রাক্কালে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো কোনোরকম পরীক্ষা ছাড়া‌ই প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। এমন‌ই এক বিঞ্জপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর।



ধারাবাহিক, শুভেন্দু অধিকারী পর্ব - ২ "রাজনীতির রণাঙ্গনে শুভেন্দু"

 রাজনীতির রণাঙ্গনে শুভেন্দু



কলেজ রাজনীতি থেকে হাত পাকাতে শুরু করেন

শুভেন্দু অধিকারী। অকুতোভয় শুভেন্দুর অসাধারণ বাগ্মীতা এবং সদা চঞ্চল চরিত্র তৎকালীন তৃণমূলীদের মন জয় করেছিল।ফলে ধীরে ধীরে তার পদ মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।ছাত্রনেতা থেকে দায়িত্ব পান যুব তৃণমূল নেতার। তার পর থেকে বাম বিরোধী আন্দোলোন গড়ে তোলার জন্য জেলা ব‍্যাপি যুব তৃণমূলীদের সংগঠিত করতে শুরু করেন। আর তাতে তিনি একশো শতাংশ সফল হন। 

শুভেন্দুর এই ধরনের পথ চলা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। 2006 সালে অধিকারী কাঁথি দক্ষিণ আসন থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি একই বছরে কাঁথি পৌর কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানও হন।

2007 সালে অধিকারী নন্দীগ্রামে ভূমি-অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তিনি ভূমি উছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য গ্রামে 10,000 একর জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করেছিল। এই আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঙালি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ধারণ করেছিল। রাজ্য সিআইডি অভিযোগ করেছে যে অধিকারী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন করতে মাওবাদীদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। নন্দীগ্রামে অধিকারীর সাফল্যের পরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জঙ্গলমহল অর্থাৎ পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলার দল পর্যবেক্ষক (ইনচার্জ) করেন। তিনি এই জেলাগুলিতে দলের ভিত্তি প্রসারিত করতে সফল হয়েছিল। ২০০৯ সালে তিনি তমলুক আসন থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর লক্ষ্মণ শেঠকে প্রায় ১৭৩,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। 2016 সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে, অধিকারী বামফ্রন্টের আবদুল কাদির শেখের বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন - নন্দীগ্রাম আসনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জোট। নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি তমলুক আসন থেকে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 27 মে 2016-তে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রনালয়ে পরিবহণ মন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করেছিলেন। এরপর কেটে যায় প্রায় দীর্ঘ সাড়ে চার বছর। তার মধ্যে উত্থান হয় মমতার ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জীর। তিনি দলের সর্বেসর্বা হয়ে উঠতে থাকেন।এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাকে গুরুত্ব দিয়ে উঁচু পদে নিয়োগ করেন। শুভেন্দুর হাত থেকে বেশ কিছু দায়িত্ব কেড়ে নিয়ে ভাইপোর হাতে তুলে দেন। এরপর শুরু হয় শুভেন্দু ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দ্বৈরথ। প্রকাশ্যে মমতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে শুভেন্দু অধিকারী। তিনি হুগলি নদী সেতু কমিশনের (এইচআরবিসি) চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন, ২২ নভেম্বর ২০২০ সালে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা । তিনি ২২ নভেম্বর ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ মন্ত্রীর পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। তিনি 2020 সালের 16 ডিসেম্বর বিধায়ক হিসাবে পদত্যাগ করেছেন। তবে জন সংযোগ সমানে জারি রেখেছেন।

(চলবে)

আবার‌ও গৌরবময় সাফল্য স‌ঈফের। এবার সাফল্য সর্বভারতীর পরীক্ষায়।

 আবার‌ও গৌরবময় সাফল্য স‌ঈফের। এবার সাফল্য সর্বভারতীর পরীক্ষায়। এ যেন এক অনন‍্য নজির। একের পর এক সাফল‍্য।সেটা আবার নজর কাড়া সাফল‍্য সর্বভারতী...