Thursday, April 30, 2020

পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়ে দিলো কেন্দ্র সরকার



পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়ে দিলো কেন্দ্র সরকার।

দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। দেশজুড়ে করোনা কবলিত হটস্পট এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। 





 দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তেই মার্চ মাসের ২৪ তারিখ থেকে জারি হয় লকডাউন। আর এই লকডাউন শুরু হতেই স্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা দেশ। অজস্র মানুষ আটকে পড়েন বিভিন্ন রাজ‍্যে। কেউ আটকে পড়েন  শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে, ভ্রমণ করতে গিয়ে, পড়ুয়ারা আটকে পড়ে ভিন রাজ্যে পড়াশোনা করতে গিয়ে আবার কেউ কেউ ভিন রাজ‍্যে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েন। তবে এসকল  মানুষদের মধ্যে সবথেকে বেশি অসহায় যদি কেউ বা কারা হয়ে পড়েন তাঁরা হলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কারণ তাদের প্রতিদিনের উপার্জনের উপর নির্ভর রোজগার, খাওয়া-থাকা ইত্যাদি।

আর লকডাউন জারি হতেই তারা সকলেই কাজ হারিয়ে নিরূপায় অবস্থায় একে অন্যের কাছে হাত পেতে কখনো আধপেটা, কখনো আবার না খেয়ে দিন চালাতে থাকেন। আর এবার এই সকল মানুষদের কথা ভেবে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া সকলকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দিল  কেন্দ্র সরকার।

বুধবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এমন বড় সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয়, লকডাউন চললেও পরিযায়ী শ্রমিক, ভিন রাজ্যে ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষেরা, পড়ুয়ারা আন্তঃরাজ্য যাতায়াত করে বাড়ি ফিরতে পারবেন। তবে এই আন্তঃরাজ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ কতগুলি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

১) নির্দেশিকা অনুযায়ী বলা হয়েছে প্রত্যেক রাজ্য থেকে কাউকে পাঠানো অথবা ফেরত আনার ক্ষেত্রে দুই রাজ্যের আধিকারিকদের থেকে অনুমতি লাগবে। অর্থাৎ মেনে চলতে হবে প্রটোকল।

২) একসাথে অনেকের যাওয়া আসার ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন নিয়েই যাতায়াত করা যাবে।


৩) যাওয়া আসার আগে স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে স্বাস্থ্যবিধির ছাড় পেতে হবে।

৪) বাসের মাধ্যমে যাতায়াত করা যেতে পারে ।তবে যাতায়াত করার আগে বাস স্যানিটাইজ করতে হবে ।বাসের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।


৫) এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর পর স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মেনে চলতে হবে হোম কোয়ারেন্টাইনের বিধি নিষেধ।



৬) প্রত্যেক যাতায়াতকারী ব্যক্তিকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ইন্সটল করে রাখতে হবে যাতে তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।


Wednesday, April 29, 2020

সোমবার থেকে চলবে বাস??



সোমবার থেকে চলবে বাস??




হ‍্যা, সোমবার থেকে গ্রীন জোন গুলিতে বাস চালানোর ছাড়পত্র দিল রাজ‍্য সরকার। তবে আপাতত বেসরকারি বাস চলবে বলে জানানো হয়। প্রেস বিবৃতি দিয়ে রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী জানান, বাসে এক সঙ্গে কুড়ি জন করে যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। তবে সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই চালাতে হবে বাস। এছাড়া গ্রীন জোন গুলিতে দোকানপাট খোলা সহ আরো কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষনা করেছেন মুখ‍্যমন্ত্রী। কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

১. মার্কেট কমপ্লেক্স নয় এমন এলাকা তে দোকান খোলা।
২.হকার্স মার্কেট ফুটপাথে থাকা দোকান খুলবে না।
৩.নিয়ম মেনে কারখানা খোলা যাবে।
৪.নিয়ম মেনে চিকৎসকরা চেম্বার খুলতে পারেন।
৫.পাড়ার একক দোকান খোলা যাবে।
৬.ব‌ই, রং, লণ্ড্রী, হার্ড‌ওয়ার, স্টেশনারী, চা,পান, বৈদ‍্যুতিক সামগ্রী, রিচার্জ দোকানে ছাড়।

তবে রাস্তা দোকানে ভিড় করা যাবে না। সামাজীক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেলে সিদ্ধান্ত বদল করা হবে।

Tuesday, April 28, 2020

এসি চালাতেও বাধা করোনার



এসি চালাতেও বাধা করোনার


তপ্ত গরম ও ঘাম থেকে বাঁচতে উচ্চবিত্ত মানুষদের এতদিন ভরসা করতে হত এসির উপর।এবার তাতেও বাধ সাধলো ক‍রোনা। কেন্দ্র সরকার থেকে দেওয়া তথ‍্য অনুযায়ী এসির হাওয়ায় ড্রপলেট ছড়ানোর মাধ‌্যমে করোনা সংক্রমন ছড়াতে পারে।

তাই নির্দেশিকা জারি করে এসি চালানোতে বেশ কিছু বিধি নিষেধ জারি করেছে  কেন্দ্র সরকার। তাতে বলা হয়েছে রাড়িতে এসি ২৪-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চালাতে হবে। এছাড়া আদ্রতার পরিমাণ ৪০-৭০% রাখা যেতে পারে।

Friday, April 24, 2020

করোনা রোগীকে জীবানুনাশক ইনজেকশান?

করোনা রোগীকে জীবানুনাশক ইনজেকশান?




করোনার করাল থাবায় আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। এই মারন রোগে জর্জরিত আমেরিকা।এর জন্য ট্রাম্প সাহেব চীনকে দায়ী করে বার বার আক্রমণ সানিয়েছেন।আবার চীন ও আমেরিকা কে পাল্টা আক্রমন করতে ছাড়েনি। এবার যেন চাপ নিতে পারছেন না ট্রাম্প সাহেব। ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে বক্তব‍্য রাখতে গিয়ে করোনা চিকিৎসা নিয়ে এক উদ্ভট মন্তব‍্য করে বসলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। 
তিনি বলেন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বিঞ্জানীরা আল্ট্রাভায়োলেট লাইট এর ব‍্যবহার বা জীবানুনাশককে ইনজেকশান দিয়ে কিছু ফল পাওয়া যায় কি না সেটার পরীক্ষা করে দেখতে পরামর্শ দেন। এই অসম্ভব রকম পরামর্শে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্ব জুড়ে।এদিকে এই ধরনের বক্ত‍্যবে কেউ যাতে কোনোরকম ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তার জন্য মাঠে নামতে হয় বহুল প্রচলিত ডেটল এবং লাইজলের মত জীবানুনাশক প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলিকে। এই ধরনের কোম্পানীগুলি বিবৃতি দিয়ে জানায়, করোনা চিকিৎসার জন্য কেউ যেন ডেটল বা লাইজল খেয়ে না ফেলে অথবা ইনজেকশান হিসাবে ব্যবহার না করে।

Thursday, April 23, 2020

স্থগিত হল বর্ধিত ডি এ

স্থগিত হল বর্ধিত ডি এ



দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। দেশজুড়ে করোনা কবলিত হটস্পট এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনার থাবা অর্থনীতিতে অব‍্যাহত। 

এমন খারাপ সময়ে দেশের আর্থিক অবস্থা আশঙ্কাজনক । এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন‍্য‍ 

একাধীক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার।


 এম পি দের বেতন ৩০% কমানোর কথা আগেই ঘোষনা করেছে কেন্দ্র। এরার কর্মচারী দের বেতন কাটার ইঙ্গিত ও দিয়েছিল সরকার।এবার কোোপ
পড়ল ডি এ এর উপর। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থ দপ্তর এক বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করে জানায়, সকল কেন্দ্র সরকারী কর্মচারী এবং পেনশনারদের বর্ধিত হারে ডিএ প্রদান এবং রিলিফ প্রদান স্থগিত রাখা হল। এর ফলে কেন্দ্র সরকারী কর্মচারীরা কিছুটা হলেও ব‍্যাকফুটে পড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জুলাই ২০২১ পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়।

রাজনৈতিক ভেদাভেদ করোনা যুদ্ধের গতিকে করছে শ্লথ, জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান

রাজনৈতিক ভেদাভেদ করোনা যুদ্ধের গতিকে করছে শ্লথ, জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান


করোনার করাল থাবায় আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। এই মারন রোগে জর্জরিত আমেরিকা।এর জন্য ট্রাম্প সাহেব চীনকে দায়ী করে বার বার আক্রমণ সানিয়েছেন।আবার চীন ও আমেরিকা কে পাল্টা আক্রমন করতে ছাড়েনি। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পক্ষপাত মূলক আচরন করছে বলে অভিযোগ করেছে আমেরিকা। এই অবস্থায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস এধানম ঘেব্রেসাস বলেন, রাজনৈতিক ভেদাভেদ করোনা যুদ্ধের গতিকে শ্লথ করে দিচ্ছে।
গত সোমবার সাধারণ মানুষকে সচেতন বার্তা দেওয়ার জন্য মিডিয়ার সামনে আসেন টেডরস। সেই সময় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আর ও বলেন, এই সময় জাতীয় সংহতি বজায় রাখতে হবে এবং সবাই মিলে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে এই মারণ রোগের বিরুদ্ধে।

     তিনি বলেন, এই ভাইরাস খুব বিপদজনক।এই সময় দারিদ্রতা এবং যুদ্ধ দুটোকেই জয় করতে হবে।তার জন্য ডান,বাম, মধ‍্য,যুক্তি, তর্ক সব কিছু দূরে সরিয়ে সবাই কে একসঙ্গে লড়ার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে করোনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ‍্যে রাজনৈতিক চাপান উতোরের শেষ নেই। দলমত নির্বিশেষে এই জাতীয় বির্পজয় মোকা্বিলার কথা বাদ দিয়ে চলছে পাল্টা দোষারোপ। বিজেপি রাজ‍্যের বিরুদ্ধে তথ‍্য গোপন এর অভিযোগ এবং রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে কেন্দ্রের দারস্থ হয়েছে।আবার রাজ‍্যকে টেষ্টিং কিট,পি পি ই,মাস্ক,মেডিসিন এবং রেশন সামগ্রী ইত‍্যাদি কেন্দ‍্র ঠিকমতো সরবরাহ ক‍রছে না বলে অভিযোগ তুলে শরব হয়েছে তৃণমূল। সুযোগ বুঝে বামদল ও খোঁচা মারতে ছাড়ে না। এছাড়া ত্রাণ ও রেশন বিলি নিয়ে কোথাও কোথাও হাঙ্গামা তৈরি হচ্ছে। তার জন্য আবার কোথাও মার খাচ্ছে পুলিশ। সব মিলিয়ে রাজ‍্য জুড়ে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার শেষ নেই।যে সময় সবাই একসঙ্গে মিলে কাজ করার কথা ছিল, সেই সময় এমন বিশৃঙ্খল প‍রিস্থিতি রাজ‍্যের মানুষকে অনেকটা দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।এই অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তার ই দিকে তাকিয়ে আছে গোটা রাজ‍্যবাসী। 

Wednesday, April 22, 2020

দেশ জুড়ে রক্ত সংগ্রের নতুন পদ্ধতি

দেশ জুড়ে রক্ত সংগ্রহের নতুন পদ্ধতি


দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন‌। সামাজীক দুরত্ব বজায় রাখতে মানুষ আজ ঘরবন্দী। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যে সব রক্তদান শিবির চলত তাও এখন বন্ধ। তাই দেশ জুড়ে বাড়ছে বক্তের অভাব। সেই সংকট নিরসনে এবার নতুন পথে চলতে পারে রক্তদান শিবির। প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার এক ট‍্যুইটে জানা যায়, ইউনিয়ন হেলথ মিনিষ্টার হর্ষবর্ধন ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটিকে যথেষ্ট পরিমানে রক্ত মজুত রাখার কথা বলেন। সেচ্ছায় রক্ত দানের মধ‍্য দিয়ে এই কাজ করতে হবে। তবে সেচ্ছায় রক্ত দাতাদের দায়িত্ব সহকারে রাড়ি থেকে ক‍্যাম্পে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের পুনরায় বাড়িতে পৌছে দিয়ে দেওয়ার ব‍্যাবস্থা রেডক্রস সোসাইটিকে করতে হবে বলে জানান হেলথ মিনিষ্টার।

Tuesday, April 21, 2020

রেশনে চালের সঙ্গে মিলবে ডাল: রাজ‍্যপাল

রেশনে চালের সঙ্গে মিলবে ডাল: রাজ‍্যপাল


দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। দেশজুড়ে করোনা কবলিত হটস্পট এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনার থাবা অর্থনীতিতে অব‍্যাহত। 


ঘর বন্দী দরিদ্র মানুষের অসহায় অবস্থা। বাড়ছে খাদ‍্যের হাহাকার। 

সেই অবস্থা মোকাবিলার জন‍্য প্রধানমন্ত্রী গরিব কল‍্যান অন্ন যোজনা য় গরীবদের বিনা মূল্যে রেশনে ৫ কিলো চাল দেওয়ার কথা ঘোষনা করে কেন্দ্র। এবার সেই সঙ্গে পরিরার পিছু। এক কিলো করে ডাল দেওয়া হবে বলে ট‍্যুইট করে জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ‍্যপাল জগদীশ ধনকর। তিন মাস ধরে বিনামূল‍্যে এই প্রকল্প চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

Monday, April 20, 2020

দেশে এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা বাড়ল ১১৩৫

দেশে এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা বাড়ল ১১৩৫


দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। দেশজুড়ে করোনা কবলিত হটস্পট এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। 


আই সি এম আর এর দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল রবিবার রাত ন'টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা বেড়েছে ১১৩৫ জন। সেই সঙ্গে এ অবধি মোট ৩,৮৩,৯৮৫ জন সন্দেহ জনক ব‍্যাক্তির কাছ থেকে ৪,০১,৫৮৬ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৭৬১৫ জন ব‍্যক্তি ক‍রোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এপর্যন্ত মৃত‍্যু হয়েছে ৫৪৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছে 

 ২৫৪৭ জন।

Sunday, April 19, 2020

স‍রকার বিনামূল‍্যে খাবার ও টাকা দিক: পি চিদম্বরম

স‍রকার বিনামূল‍্যে খাবার ও টাকা দিক:       পি চিদম্বরম


দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। দেশজুড়ে করোনা কবলিত হটস্পট এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনার থাবা অর্থনীতিতে অব‍্যাহত। 


ঘর বন্দী দরিদ্র মানুষের অসহায় অবস্থা। বাড়ছে খাদ‍্যের হাহাকার। এই সময় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বলিষ্ট কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। পিটিআই সূত্রে জানা যায়, চিদম্বরম অভিযোগ করেন, এমন পরিস্থিতিতে এই হৃদয়হীন সরকার কিছু করছে না। দরিদ্র রোজ আনা রোজ খাওয়া মানুষেরা কর্মহীন।তাদের কাছে যে সামান‍্য অর্থ ছিল তা ও শেষ। রান্না করা খাবার পাওয়ার জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ভিন রাজ‍্যে কাজ করতে যাওয়া মানুষেরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। যাদের খাদ‍্যের প্রয়োজন আছে তাদের কেন এফসিআই এর মাধ‍্যমে বিনা মূল্যে খাদ‍্যশশ‍্য দেওয়া হচ্ছে না? তিনি আরো বলেন, দেশে ৭৭ মিলিয়ন টন খাদ‍্য মজুত আছে। তবু কেন তা দেওয়া হচ্ছে না? এছাড়া এই সব মানুষের খাতায় সরাসরি টাকা দিতে হবে সরকারকে। এছাড়া পরিযায়ী কর্মীরা বিভিন্ন রাজ‍্যে আটকে আছে। কেউ কেউ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। অপেক্ষা করে আছে বাড়ি ফেরার জন‍্য। ফলে তারা কোথাও কোথাও আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে। তাদের সাহায‍্যের জন‍্য সরকার যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, তার দাবি করেন পি চিদম্বরম।

এক বছর ধরে কাটা হবে বেতন,ঘোষনা কেন্দ্রের

এক বছর ধরে কাটা হবে বেতন,ঘোষনা কেন্দ্রের



দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। দেশজুড়ে করোনা কবলিত হটস্পট এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনার থাবা অর্থনীতিতে অব‍্যাহত। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার আরো একবার রেপোরেট কমালো রিজার্ভ ব্যাংক। এমন খারাপ সময়ে দেশের আর্থিক অবস্থা আশঙ্কাজনক । এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন‍্য‍ 

একাধীক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার। এম পি দের বেতন ৩০% কমানোর কথা আগেই ঘোষনা করেছে কেন্দ্র। এরার কর্মচারী দের বেতন কাটার ইঙ্গিত পাওয়া গেল। অর্থদপ্তর আসা এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, রেভিনিউ দপ্তরের কর্মচারী দের প্রতি মাসের এক দিনের বেতন প্রধানমন্ত্রী ফান্ডে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে বলে উল্লেখ করা হয়। যদি কোনো কর্মী এই প্রস্তাবে রাজী না থাকে তাহলে তা লিখিত ভাবে অর্থ দপ্তরে আগামী ২০ এপ্রিল সোমবারের মধ‍্যে অর্থ দপ্তরে জানাতে হবে।
এথেকে বোঝা যায় বর্ধিত ডিএ এর ঘোষনা যেটা কেন্দ্র করেছিল সেটা নাও মিলতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

Saturday, April 18, 2020

সাবধান না হলে বাড়বে মৃত‍্যু মিছিল

সাবধান না হলে বাড়বে মৃত‍্যু মিছিল



দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। দেশজুড়ে করোনা কবলিত হটস্পট এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবু রাস্তাঘাট, হাটে- বাজারে ঠিকমত মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। 
একাধীক জায়গায় লকডাউন কে উপেক্ষা করার জঘন‍্য চিত্র ও দেখা গেছে। লকডাউন সফল করতে কোথাও মার খাচ্ছে পুলিশ আরার কোথাও জঘন‍্য হিংসার শিকার হয়েছেন স্বাস্থ‍্যকর্মী। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করবে। আমেরিকা, ইতালি বা স্পেনের মত মারাত্মক অবস্থা তৈরি হতে পারে। গতকাল ১৭ই এপ্রিল ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ‍্যান অনুযায়ী -
আক্রান্ত- ১৩৩৮৭
সুস্থ-  ১০০৭
মৃত-   ৪৩৭
আবার ১৮ই এপ্রিল শনিবার পরিসংখ‍্যা হয়-
আক্রান্ত-১৪৩৭৮
সুস্থ-  ১৯৯১
মৃত-  ৪৮০
এই পরিসংখ‍্যা থেকে জানা যায় গত ২৪ ঘন্টার মধ‍্যে আক্রান্তের সংখ‍্যা বেড়েছে ৯৯১ জন এবং মৃতের সংখ‍্যা বেড়েছে ৪৩ জন। এই অবস্হায় লকডাউন, সামাজীক দুরত্ব সহ অন্যান্য নিয়ম মেনে না চললে অবস্থা আয়ত্বেয় বাইরে চলে যেতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষা ও গবেষনা জানাচ্ছে এখন থেকে সচেতন হতে না পারলে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ‍্যা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। আর আক্রান্তের সংখ‍্যা বাড়লে বাড়বে মৃত‍্যু মিছিল।

Friday, April 17, 2020

পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রিজার্ভ ব‍্যাংকের

পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রিজার্ভ ব‍্যাংকের


দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। দেশজুড়ে করোনা কবলিত হটস্পট এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনার থাবা অর্থনীতিতে অব‍্যাহত। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার আরো একবার রেপোরেট কমালো রিজার্ভ ব্যাংক। এমন খারাপ সময়ে দেশের আর্থিক অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করতে রেপোরেট ২৫ পয়েন্ট কমিয়ে ৩.৭৫% করা হয়। সেই সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন‍্য‍্য NABARD, Small Industries Development Bank of India এবং National Housing Bank কে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প‍্যাকেজ দেওয়ার কথা ঘোষনা করেন  রিজার্ভ ব্যাংক এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।


অনলাইনে হতে পারে কলেজ ও বিশ্ববিদ‍্যালয় পড়ুয়াদের ক্লাস

অনলাইনে হতে পারে কলেজ ও বিশ্ববিদ‍্যালয় পড়ুয়াদের ক্লাস

    
রাজ‍্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। দেশজুড়ে করোনা কবলিত এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই অবস্থায় কলেজ ও বিশ্ববিদ‍্যালয় পড়ুয়াদের সেমিষ্টার নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এনিয়ে এখনো কোনো স্বচ্ছ বার্তা পাওয়া যায়নি।
এই দিকে UGC (ইউজিসি) তরফে এক নোটিশ জারি করা হয়েছে সেখানে অনলাইনে কিভাবে পরুয়াদের কে সাহায্য করা যায় সেই নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে।

Thursday, April 16, 2020

করোনা র‍্যাপিড টেষ্টের দিকে ঝুঁকছে রাজ‍্য

করোনা র‍্যাপিড টেষ্টের দিকে ঝুঁকছে রাজ‍্য


           রাজ‍্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। দেশজুড়ে করোনা কবলিত এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছে এরাজ্যের ১১টি জেলা। কেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী, বাংলার ৪টি জেলা সেগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উঃ ২৪ পরগনা হটস্পট তালিকাভুক্ত এবং ৭টি জেলা (সেই জেলাগুলি হল জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা) নন-হটস্পট তালিকা ভুক্ত। এই পরিস্থিতিতে আগের অবস্থান থেকে বেশ কিছুটা সরে গিয়ে করোনা র‍্যাপিড টেষ্টের দিকে ঝুঁকছে রাজ‍্য।       

        স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়, কোনও কোভিড আক্রান্তের সরাসরি সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির শরীরে উপসর্গ থাক বা না থাক, তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।  সেই সঙ্গে ক্লাস্টার বা স্পর্শকাতর এলাকাতেও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায়, কোভিড আক্রান্তের সরাসরি সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে শুধুমাত্র যাঁদের উপসর্গ দেখা যাবে তাঁদের লালারসের পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এ দিনের নির্দেশিকায় উপসর্গহীন ব্যাক্তিদেরও পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


করোনা র‍্যাপিড টেষ্টের দিকে ঝুঁকছে রাজ‍্য

লকডাউন সফলে প্রয়োজনে সেনা চাই: রাজ‍্যপাল

লকডাউন সফলে প্রয়োজনে সেনা চাই: রাজ‍্যপাল


রাজ‍্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা। রাস্তাঘাট, হাটে- বাজারে ঠিকমত মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। এছাড়া প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাতে কোনোরকম ধর্মীয় সমাবেশ না হয় , তারজন‍্য প্রয়োজনে আধা সেনাকে কাজে লাগানোর আর্জি জানান রাজ‍্যের রাজ‍্যপাল জগদীশ ধনকর। তিনি ট‍্যুইট করে একথা উল্লেখ করেন। তিনি ট‍্যুইটে বলেন, করোনা কবলিত এলাকায় লকডাউনের নিয়ম কানুন ১০০%  অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে। পুলিশ প্রশাশন এবং মমতার আধীকারিকদের লকডাউন ১০০% সফল ক‍রতে এবং ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ করতে তৎপর হতে হবে। এসব কিছু কড়া হাতে নিয়ন্ত্রনের জন‍্য আধা সেনাদের ব‍্যবহার করার কথাও উল্লেখ করেন।

ভাত নয়, হতে পারে নুনের আকাল

   

ভাত নয়, হতে পারে নুনের আকাল


ভাত নয়, হতে পারে নুনের আকাল


ভাতের অভাবের কথা আমরা সবাই শুনে থাকি। তাই বলে নুনের অভাবের কথা আমরা কখনো শুনি না। এবার সেটাও হতে পারে।
           করোনার থাবা নুন উৎপাদনে। দীর্ঘ লকডাউনের জন‍্য নুন কারখানা গুলো প্রায় বন্ধ। সারা বছর দেশ জুড়ে যে পরিমাণ নুন প্রয়োজন হয় তার অধিকাংশ তৈরি হয় এই গ্রীষ্মকালে। এই সময় সূর্যের প্রখর তাপকে কাজে লাগিয়ে সমুদ্রের নোনা জল থেকে নুন তৈরি করা হয়। এই মরশুম শেষে বৃষ্টি নামলেই উৎপাদন বন্ধ হয়ে য়ায়। কিন্তু এবছর করোনার জেরে চলছে দীর্ঘ লকডাউন। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী নুন কারখানা ও অনেক জায়গায় বন্ধ। শ্রমিকরাও কাজ করতে পারছে না। তাই ব‍্যহত হচ্ছে নুন উৎপাদনের প্রক্রিয়া। ফলে আগামী দিনে ভাতের মত নুনের আকাল ও দেখা দিতে পারে।

       গত ২৮ মার্চ ইন্ডিয়ান সল্ট অ্যাসোশিয়েসানের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী-সহ পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানেই সংস্থার তরফে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সল্ট অ্যাসোশিয়েসান কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন-দেশে নুন উৎপাদনের মরশুম মার্চ থেকে জুন। বর্ষা নেমে গেলে নুন উৎপাদন আর সম্ভব নয়। লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই মার্চ মাস নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কাজ শুরু না করতে পারলে আকাল তৈরি হতে পারে অনুমান সল্ট অ্যাসোশিয়েশানের।


এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে সংস্থার আবেদন, যাতে কড়া নজরদারি বজায় রেখেও অন্তত ৭৫ শতাংশ কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যথায় আগামী এক বছর ভারতবাসীর পাতে নুনটুকুও জুটবে না।



করোনায় হটস্পট চিহ্নিত রাজ‍্যের চার জেলা


          দেশজুড়ে করোনা কবলিত এলাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছে এরাজ্যের ১১টি জেলা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশের জেলাগুলিকে ৩টি ভাগে ভাগ করেছে। একটি হটস্পট তালিকাভুক্ত, একটি হটস্পট তালিকায় থাকা ক্লাস্টারযুক্ত এবং নন-হটস্পট তালিকাভুক্ত জেলা।
 মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই তিনটি তালিকা ভুক্ত হটস্পট জেলাগুলিতে ৩রা মে পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করা হবে। বাকি গ্রিন জোনে থাকা এলাকাগুলিতে ২০ এপ্রিল থেকে লকডাউন শিথিল করা হবে। কেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী, বাংলার ৪টি জেলা সেগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উঃ ২৪ পরগনা হটস্পট তালিকাভুক্ত এবং ৭টি জেলা (সেই জেলাগুলি হল জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা) নন-হটস্পট তালিকা ভুক্ত।

ক্লাস্টারযুক্ত হটস্পট তালিকায় বাংলার কোনও জেলা নেই। এছাড়া দেশে মোট ১২৩টি জেলা করোনা সংক্রামিত তালিকাভুক্ত। ৪৭টি জেলা ক্লাস্টারযুক্ত হটস্পট তালিকাভুক্ত রয়েছে। এই নন-হটস্পট জেলাগুলিতে সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটাই কম। কয়েকদিনে এই সমস্ত জেলায় নতুন করে কোনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।

Wednesday, April 15, 2020


করোনার জেরে বাতিল একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা

দ্বাদশের বাকী পরীক্ষা হবে জুনে


করোনার জেরে ইতি পূর্বে প্রাথমিক স্তরে প্রথম পর্যায়ের সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সেই একই রীতি মেনে একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করল রাজ‍্য সরকার। সেই সঙ্গে মুখ‍্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, এ বছর একাদশের কাউকে প‍রীক্ষা দিতে হবে না। তার মানে এই ক্লাসে সবাই পাশ। তারা দ্বাদশ শ্রেণী পড়াশুনার প্রস্তুতী শুরু করে দিতে পারবে। আর দ্বাদশ শ্রেণীর যে তিনটি পরীক্ষা এখনো বাকী আছে সেটা জুন মাসে নেওয়া হবে।

করোনার কেরামতিতে পর্যুদস্ত পাকিস্তান ভারতের কাছে চাইল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন



         সকল দম্ভ, অহংকার এবং লজ্জা বিসর্জন দিয়ে সন্ত্রাসবাদের আতুর ঘর হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান আজ ভারতের শরনাপন্ন। নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে পর্যুদস্ত পাকিস্তান ভারতের কাছে চাইল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন । পাকিস্তান জুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। ইতিমধ্যে সেদেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ৬০০০ ছাড়িয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১০০-র বেশি।তাই মূলত ম্যালেরিয়ায় কার্যকরী ওষুধ দিয়ে কোভিড ১৯ কে ঠেকানোর চেষ্টা করছে গোটা দুনিয়া। তা পাওয়ার ব্যাপারে ভারতের সাহায্য চেয়েছে ইমরান খানের দেশ। সারা বিশ্বে ভারতেই সবচেয়ে বেশি তৈরি হওয়া এই ওষুধে করোনাভাইরাসের লক্ষণ মোকাবিলায় কাজ দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমেরিকা, ব্রাজিল সহ পৃথিবীর একাধিক দেশকে ভারত করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সাহায্য করতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠিয়েছে। পাকিস্তানই সর্বশেষ দেশ যারা একপ্রকার নিরুপায় হয়ে ভারতের কাছে তা চেয়ে হাত পাতল। এমন ই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।বলা হয়, অতিসক্রিয় ইমিউন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। ১৯৪০ থেকেই ম্যালেরিয়ার চিকিত্সায় এর ব্যবহার চলছে। রিউমটয়েড আর্থারাইটিস, লিউপাসের ক্ষেত্রেও এটি দেওয়া হয় রোগীকে। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ-যেহেতু এই প্রতিবেশী সার্কভুক্ত দেশ ওষুধপত্রের ব্যাপারে পুরোপুরি তার ওপর নির্ভরশীল, তাই তাদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও অন্যান্য ওষুধপত্র পাঠানো হবে বলে দিনকয়েক আগে জানিয়েছিল ভারত। এখন পাকিস্তানের আর্জিতে নয়াদিল্লি সায় দেবে কিনা, সেদিকেই নজর গোটা ভারতবাসীর।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের সেই মুহুর্ত এবং কলকাতার রাজপথ।।


ভারতে দুই প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেল করোনাভাইরাস এর অস্তীত্ব, রিপোর্টে বলল আইসিএমআর

ইন্ডিয়ান ফ্লাইং ফক্স এবং ফল খাওয়া বাদুড়ের শরীরে পাওয়া গেছে করোনা ভাইরাসের খোঁজ।




নভেল করোনাভাইরাসের বাহক বাদুড় হতে পারে এমন আভাস আগেই দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) সাম্প্রতিক গবেষণার রিপোর্ট বলছে, ভারতের দুই প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে বিটা-করোনাভাইরাসের প্রাণঘাতী ভাইরাল স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। ইন্ডিয়ান ফ্লাইং ফক্স এবং ফল খাওয়া বাদুড়ের (Rousttus)শরীরে পাওয়া গেছে এই আরএনএ ভাইরাসের খোঁজ।
এই মারণ ভাইরাসের উৎসের কারণ বাদুড় হতে পারে কিনা সেই নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালাচ্ছিল আইসিএমআর ও পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি)। গবেষকরা বলছেন, কেরল, তামিলনাড়ু, হিমাচলপ্রদেশ ও পুদুচেরীর নানা জায়গা থেকে ওই দুই প্রজাতির বাদুড় সংগ্রহ করে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছিল। দুই প্রজাতিরই ২৫টি বাদুড়ের গলা থেকে পাওয়া নমুনার আরটি-পিসিআর (রিভার্স-ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন)পরীক্ষা করে ভাইরাল স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। মনে করা হচ্ছে নয়া করোনাভাইরাসের Reservoir এই দুইপ্রজাতির বাদুড় হলেও হতে পারে। তবে এই বাদুড়ের থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ এখনই ছড়িয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। The Hindustan Times  সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হয়েছ
"Researchers of the Indian Council of Medical Research (ICMR) have detected coronaviruses (CoVs) among two species of bats in the country, highlighting the need for continuous active surveillance in the mammal to identify the emerging strains of the viruses that can cause an epidemic."

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইন্ডিয়ান ফ্লাইং ফক্সের চারটি স্যাম্পেল ও ফল খাওয়া বাদুড়দের ২১টি স্যাম্পেলের মধ্যে ব্যাট-কভ (BtCov-যা আসলে বিটা-করোনারই স্ট্রেন) স্ট্রেন পাওয়া যায়।

আবার‌ও গৌরবময় সাফল্য স‌ঈফের। এবার সাফল্য সর্বভারতীর পরীক্ষায়।

 আবার‌ও গৌরবময় সাফল্য স‌ঈফের। এবার সাফল্য সর্বভারতীর পরীক্ষায়। এ যেন এক অনন‍্য নজির। একের পর এক সাফল‍্য।সেটা আবার নজর কাড়া সাফল‍্য সর্বভারতী...